প্রযুক্তিশিক্ষায় নারীর সমতা অর্জনের পথে অন্তরায় ও উত্তরণের পথ
জিআইজেড বাংলাদেশ ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘প্রযুক্তিশিক্ষায় নারীর সমতা অর্জনের পথে অন্তরায় ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২১ মার্চ। এ আলোচনার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এ ক্রোড়পত্রে ছাপা হলো। এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএন উইমেন ও ডেভটেল পার্টনার্স।
অংশগ্রহণকারী
সুপারিশ
নারীদের প্রযুক্তিশিক্ষায় আগ্রহী করে তোলার জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণের জন্য নিয়োগ ও অগ্রগতি পর্যালোচনায় প্রক্রিয়াকে সংস্কার করা দরকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
জ্বালানি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে তার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই।
নেতৃত্বদানের দক্ষতা বিকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা দরকার।
প্রযুক্তিশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণের চিত্র গবেষণার মাধ্যমে তুলে ধরা জরুরি।
জেন্ডার বাজেট প্রণয়নে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্তি ও বাজেট বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে।
প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ও জেন্ডার স্টেরিওটাইপ দূর করতে মিডিয়ার ভূমিকা জোরদার করতে হবে।
আলোচনা
আব্দুল কাইয়ুম
দিলরুবা হায়দার
- এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’। এ বছর জাতিসংঘের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ) ৬৭তম সভার বিষয়ও ছিল প্রযুক্তি নিয়ে। ১৮১টি সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক এতে অংশগ্রহণ করে। জাতিসংঘের মহাসচিবও ডিজিটাল ডিভাইডের কথা বলেছেন।
জেন্ডার সমতা খুবই জরুরি একটি বিষয়। ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ চাকরি স্টেম এডুকেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। বিশ্বব্যপী প্রযুক্তি খাতে নারীরা এক–তৃতীয়াংশের কম কর্মরত। এখানে ২১ শতাংশের মতো জেন্ডার পে–গ্যাপ (বেতনের ব্যবধান) রয়েছে এবং ৪৮% নারী কর্মক্ষেত্রে হয়রানির স্বীকার হন। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মালিকানায় ২৯ শতাংশ জেন্ডার গ্যাপ রয়েছে। আর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে জেন্ডার গ্যাপ রয়েছে ৫২ শতাংশ। নারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ঠিকই, তবে তা পুরুষদের তুলনায় কম।
আমরা বিশ্বাস করি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন উন্নয়ন, মানবাধিকার ও নারীর অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর। করোনা মহামারির সময় আমরা দেখেছি, ডিজিটাল ডিভাইড অনুধাবন করেছি। নারীদের তথ্যপ্রাপ্তি, প্রণোদনা প্যাকেজ, টিকাকরণ কর্মসূচিতে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। কিশোরীরা অনলাইন ক্লাস করতে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমের বিকাশের প্রতি দায়বদ্ধ। ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ফোরামে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি স্টার্ট আপ এবং ই-কমার্স সেক্টরে জেন্ডার সমতার অঙ্গীকার করেছেন। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় নারী–পুরুষের সমতার কথা ভাবতে হবে। আমাদের স্টেম শিক্ষা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। এ জায়গায় জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন।
ড. ফ্র্যাংক ফেচার
২০০৪ সাল থেকে জিআইজেড বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে। পেশাজীবী বা উদ্যোক্তা হিসেবে যাঁরা এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁদের বেশির ভাগেরই প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার মানবসম্পদের দিকে যদি আমরা তাকাই, তাহলে নারী ও পুরুষ কর্মীর সংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা প্রকটভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা নেতৃত্ব পর্যায়ে এই বৈষম্য আরও বেশি। কোনো দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজনের সময় যদি আলাদাভাবে নারী প্রশিক্ষণার্থী অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আমরা উল্লেখ না করি, তখন ৫ শতাংশের কম অংশগ্রহণ পাওয়া যায়। এই ভারসাম্যহীনতা সরকারি-বেসরকারি বহু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়, যদিও আপাতদৃষ্টে তাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া পক্ষপাতহীন।
ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রযুক্তি ও প্রকৌশলশিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই বছর আগে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে টেকসই জ্বালানি নিয়ে একটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। সেখানে বিজয়ী দলগুলোতে প্রচুর ছাত্রী ছিল, এমনকি একটি বিজয়ী দলে সব সদস্যই ছিলেন নারী। এটা প্রমাণ করে, নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহের বা মেধার কোনো অভাব নেই।
জিআইজেড বাংলাদেশ থেকে আমরা জ্বালানি খাতে নারী পেশাদারদের জন্য এমনভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করতে চাই, যাতে তাঁরা অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশে সৃজনশীলভাবে নিজেদের দক্ষতা বিকাশের সুযোগ পান। শিক্ষা থেকে ক্যারিয়ার জীবনের রূপান্তরের সময়টায় ঠিক কী ধরনের সহযোগিতা পেলে প্রযুক্তিগত পেশা বেছে নিতে নারীরা আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কী ধরনের কাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, তা–ও আমাদের ভাবতে হবে।
লাফিফা জামাল
আমাদের বিদ্যমান সমাজ ও সংস্কৃতিতে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার সময় তাকে যে খেলনা দেওয়া হয়, তার মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। মেয়েশিশুকে কিনে দেওয়া হচ্ছে পুতুল বা হাঁড়িপাতিল, যেখানে ছেলেশিশুকে দেওয়া হচ্ছে ফুটবল বা গাড়ি। ছেলেশিশু হলে আমরা বলি সে প্রকৌশলী হবে। কিন্তু মেয়েশিশুর বেলায় এটি তুলনামূলকভাবে কম বলি।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসএসসিতে একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের যেকোনো একটিতে ভর্তি হতে হয়। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি, গ্রামাঞ্চলের নারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে গেলে খরচ বেশি হয়। মা–বাবা ছেলেসন্তানের পড়াশোনায় আর মেয়েদের বিয়ের জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন। এই জায়গায় দেখা যায়, মা–বাবা খরচের কথা ভেবে তাঁর মেয়েকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াতে চান না। এর ব্যতিক্রমও অবশ্যই আছে। তবে পুরো দেশের মোটামুটি চিত্র এমনই। এ জায়গাগুলো আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
তনুজা ভট্টাচার্য
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এ খাতে আগামী দিনে মাইলফলক হবে বিদ্যুৎ সরবরাহের গুণগত মান, কারিগরি দক্ষতা ও উৎকর্ষ নিশ্চিত করার ওপর। বিদ্যুৎখাতের আধুনিকীকরণ এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে নতুন ধরনের কর্মকৌশল ও কাজের সুযোগসৃষ্টি হবে। টেকসই ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ অবকাঠামোর জন্য চাই নতুন ধরনের প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় জনবল তৈরির রোডম্যাপ।
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ক্লিন এনার্জি ট্রান্সিশনের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি কর্মসংস্থানতৈরি হবে। নেট মিটারিংয়ের মতো নীতিমালা ভোক্তার জন্য বিনিয়োগ ও সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগও তৈরি করছে। এই সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা এই খাতে নারীদের অংশগ্রহণ কীভাবে দেখতে চাই, সেটাই বড় প্রশ্ন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা যদি নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে উদাসীন থাকে, তাহলে এ খাতের উন্নয়ন ও অর্জনই বিলম্বিত হবে।
অনন্যা রুবাইয়াত
প্রযুক্তি শিক্ষা শুনলে আমরা প্রথমেই ভাবি প্রকৌশল বা তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার কথা। তবে বাংলাদেশে কারিগরি ও কর্মমুখী প্রযুক্তি শিক্ষাতেও নারীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা পলিটেকনিকগুলোর তথ্য ঘাঁটলে দেখা যায়, মেয়েদের ভর্তির হার কম এবং এ সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের উপস্থিতি আরও কম।
বাংলাদেশে শিল্পায়নে প্রাধান্য বাড়ছে এবং শিল্পায়নে প্রযুক্তির ব্যবহারও বাড়ছে, যার জন্য বিপুলসংখ্যক দক্ষ কারিগরিজ্ঞানসম্পন্ন কর্মী প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে দেশের সব প্রান্তে বিভিন্ন রকম নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এই উদীয়মান খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে।
নারীদের জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সংখ্যা বাড়াতে হবে ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিকুলামকে হালনাগাদ করে দেশ–বিদেশের চাহিদা অনুসারে ঢেলে সাজাতে হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মধে৵ যোগাযোগ স্থাপন করে নারী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাইলে যাতে তা পারেন, তেমন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করা প্রয়োজন। সব স্তরে এমন পরিবর্তন আনতে না পারলে আমাদের টেকসই উন্নয়ন এবং এনার্জি ট্রান্সিশান অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠবে না।
কানিজ ফাতেমা
ফারজানা রহমান
মো. আরিফ রায়হান মাহি
প্রযুক্তিগত শিক্ষায় আগ্রহের বিষয়টি অনেকাংশেই নির্ভর করে ইন্ডাস্ট্রির ওপর। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠান নারী প্রকৌশলীদের কর্মী হিসেবে নিতে আগ্রহ দেখায় না। এর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে প্রযুক্তিশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ওপর। তা ছাড়া চাকরিতে অগ্রগতিও একটি বড় নিয়ামক। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পর্ষদে ১ শতাংশেরও কম নারী প্রতিনিধি সুযোগ পান। কর্মক্ষেত্রে নারীদের পেশা মূল্যায়নে একটি সংস্কার প্রয়োজন।
আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের নেতৃত্বদানের গুণাবলি বিকাশের সুযোগ পুরুষের তুলনায় কম। সামাজিকভাবে একজন পুরুষ যেসব নেটওয়ার্ক, কাজ ও সামাজিক সম্পর্ক তৈরির সুযোগ পান, একজন নারী তা তুলনামূলকভাবে কম পান। তাই শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন ধাপে এমনকি চাকরিজীবনের শুরুতে নারীদের নেতৃত্বদানের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। সম্প্রতি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষ নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ‘শক্তিকন্যা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে দেখেছি, এ খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সুফল পেতে শুরু করেছে। তাই এ ধরনের আয়োজন চলমান রাখা জরুরি।
নাহিদ শারমীন
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭৫ শতাংশ চাকরি ডিজিটাল ও ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর নির্ভর করবে। ‘ফিউচার অব এডুকেশন’ নামে এটুআইয়ের একটি প্রকল্প আছে, যা মূলত ডিজিটাল শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে তিনটি উদ্যোগ আছে। এই প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমে শিশু ও শিক্ষকেরা অংশ নিতে পারেন, এবং বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ ও রয়েছে।
এটুআই-এর একটি ডিজিটাল অর্থনৈতিক সেবা প্রকল্প আছে। এখানে নারীদের কীভাবে যুক্ত করা যায়, সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সঙ্গে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনটি বিষয় জরুরি। সেগুলো হলো, প্রবেশযোগ্যতা, ক্রয়ক্ষমতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা। এ তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে প্রযুক্তি শিক্ষায় সমতা অর্জন করা সম্ভব।